সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ দেশে ফিরেছে। গতরাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। মাহফুজ উল্লাহর বড় বোনের ছেলে শাহদাত রায়হান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাতে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় মরদেহ সংরক্ষণের পর তার প্রথম জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর গ্রিনরোড ডরমিটরি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আসরের নামাজের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে। এরপর মরহুমের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
এর আগে ব্যাংককের স্থানীয় সময় গতকাল সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কার্ডিয়াক সমস্যার কারণে গত ২রা এপ্রিল ৬৯ বছর বয়সী মাহফুজ উল্লাহকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার ফুসফুসে পানি জমে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১০ই এপ্রিল এয়ার এম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়।
মাহফুজ উল্লাহ ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করতেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। ১৯৭২ সাল থেকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতায় পুনরায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত বছরের নভেম্বরে মাহফুজ উল্লাহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবনীগ্রন্থ লেখেন, যার নাম ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ হার স্টোরি’। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৫০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়া: রাজনৈতিক জীবনী, যাদুর লাউ, যে কথা বলতে চাই, অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন: গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১), উলফা অ্যান্ড দ্য ইনসারজেন্সি ইন আসাম। তিনি বিএনপির থিংকট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।